Saturday, August 6, 2016

মানব জীবনে হালাল ও হারামের প্রভাব!

মানব জীবনে হালাল ও হারামের প্রভাব!




জেনে নিন মানব জীবনে হালাল ও হারামের প্রভাব! 
হালালঃ
আল্লাহ মানুষকে আশরাফুল মাখলূকাত করে সৃষ্টি করেছেন। আর এ বিশ্বের সবকিছুই তিনি তাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন। যেমন তিনি বলেনঃ- “তিনি পৃথিবীর সবকিছু তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন” (সূরা বাকারাঃ ২৯)
আল্লাহ জানেন, এ পৃথিবীর কোন বস্তু তাদের দেহ, মন , মস্তিষ্ক এবং আত্মার জন্য কল্যাণকর আর কোন বস্তু অকল্যাণকর, কোন জিনিস তাদের উপকার সাধনকারী আর কোন জিনিস ক্ষতিকারক। ফলে তিনি এমন সব বস্তু মানুষের জন্য হালাল করেছেন যা মানুষের কল্যাণ সাধন করে, তাদের দেহ ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে। হালাল খাদ্য অন্তরে নূর সৃষ্টি করে, অন্যায় ও অসৎ চরিত্রের প্রতি ঘৃণাবোধ জন্মায় এবং মানুষের মধ্যে সৎ গুণাবলী বৃদ্ধি করে। হালাল খাদ্য গ্রহণ করলে ইবাদাতে অধিকতর মনোযোগ আসে। তার কারণেই আল্লাহ নবীগণকে হালাল খাদ্যের প্রতি অনুপ্রাণিত করে বলেন – “হে রাসূলগণ! পবিত্র বস্তু হতে আহার করুন এবং সৎকাজ করুন। আপনারা যা করেন সে বিষয় আমি পরিজ্ঞাত” (সূরা আল মুমিনঃ ৫১)
সকল মানুষকে সম্বোধন করে আল্লাহ পাক বলেন – “হে মানবমন্ডলী! তোমরা পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু আহার কর।” (সূরা বাকারাঃ ১৬৮)
হারামঃ
হারাম খাদ্য, পানীয় এবং বস্তু অবশ্যই পরিত্যাজ্য। কোন কোন খাদ্য ও পানীয়ের মধ্যে এমন সব উপাদান থাকে যা সুস্থ মস্তিষ্কে বিকৃতি ঘটায়, উন্মাদনা সৃষ্টি করে এবং মানুষের স্মৃতিশক্তি লোপ করে দেয়। যেমন- হিরোইন, মদ, আফিম, গাঁজা ইত্যাদি। এসব বস্তু মানুষের দেহের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে, সামাজিক পরিবেশ বিনষ্ট করে, আর্থিক দিক থেকে মানুষকে পঙ্গু ও দেউলিয়া করে দেয়। জুয়া, হাউজ, লটারি শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম। এগুলো অপবিত্র এবং শয়তানের কাজ। এতে মানুষ সর্বস্বান্ত হয়।
আল্লাহ তায়ালা এ প্রসঙ্গে বলেন – “হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ ঘৃণ্য বস্তু শয়তানের কাজ। অতএব এগুলো বর্জন কর। যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।” (সূরা মায়িদাহঃ ৯০)  
আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, হিংস্র প্রাণীর দেহে এমন সব জীবাণু আছে যা মানুষের দেহের জন্য ক্ষতিকর। কাজেই তা আমাদের জন্য হালাল হতে পারে না। এছাড়া হারাম খেলে মন্দ অভ্যাস ও অসচ্চরিত্রতা সৃষ্টি হয়, ইবাদাতে আগ্রহ থাকে না এবং দুআ কবুল হয় না।
নবী কারীম (সাঃ) এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “বহুলোক দীর্ঘ সফর করে আসে এবং অত্যন্ত ব্যাকুলভাবে দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে বলতে থাকে, হে পরোয়ারদেগার! কিন্তু যেহেতু সে ব্যক্তির পানাহর সামগ্রী হারাম উপার্জনের, পরিধেয় পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম পয়সায় সংগৃহীত – এমতাবস্থায় তার দুআ কি করে কবুল হতে পারে?” (মুসলিম, তিরমিযী) 

No comments: